সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও বিশেষ ফজীলত
সূরা ফাতিহা কুরআন মাজিদের প্রথম ও মর্যাদা পূর্ণ সূরা। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত লাভের একবারেই প্রথম যুগের সূরা “সূরা আল – ফাতিহা”।
ফাতিহা শব্দটি আরবী “ফাতহুন” শব্দজাত যার অর্থ ‘উন্মুক্তকরণ’। এ সূরার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে এর এই নামকরণ করা হয়েছে। সূরা ফাতিহা কে উম্মুল কুরআন বলা হয়। সূরা আল ফাতিহা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এতটাই প্রিয় যে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্যে এই সূরা পড়া ফরয করে দিয়েছেন। কেননা এই সূরা পড়া ছাড়া নামাজ হয় না। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যাক্তি নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করলো না,তার সালাত অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেলো।মিশকাত:৮২৩
সূরা ফাতিহা মক্কায় অবতীর্ণ ১ম ও পূর্ণাঙ্গ সূরা। এই সূরায় ৭টি আয়াত, ২৫ টি শব্দ এবং ১১৩ হরফ রয়েছে।
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য:
১) সূরা ফাতিহা কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ সূরা। তাওরাত, যাবুর ,ইঞ্জিল, কোরআন কোন কিতাবে তুলনীয় কোন সূরা নেই।( বুখারী,মিশকাত:২১৪২)
২) আবু সাঈদ খুদরী রা.বলেন, একবার এক সফরে আমাদের একসাথী, জৈনক গোত্র প্রতীকে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দিয়ে সাপের বিষ ঝাড়েন এবং তিনি সুস্থ হন।(বুখারী শরীফ:৫৪০৫)
ফযিলতের বিশেষ বর্ণনা:
সূরা ফাতিহার ফজিলত অপরিসীম। এই সূরা আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা যোগে আরম্ভ হয়েছে । সূরা ফাতিহার মধ্যে আল্লাহতালার দয়া সূচক দুটি নাম “রহমান” ও “রহিম” রয়েছে। এই সূরা একাধারে আল্লাহর প্রশংসা ও শক্তির বর্ণনা এবং মোনাজাত।